Showing posts with label Health tips. Show all posts
Showing posts with label Health tips. Show all posts

Monday 17 July 2017

হাঁপানি/Asthma সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

হাঁপানি/Asthma সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন...
হাঁপানি/Asthma সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

হাঁপানি/Asthma সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

>শ্বাসনালির ক্রনিক প্রদাহজনিত দীর্ঘস্থায়ী রোগ অ্যাজমা, যা হাঁপানি নামে পরিচিত। এর ফলে শ্বাসনালিতে বিভিন্ন কোষ, বিশেষত ইয়োসিনোফিল ও অন্যান্য কোষীয় উপাদান জমা হয়ে শ্বাসনালি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে।অ্যাজমার কারণে শ্বাসনালির ছিদ্রপসরু হয়ে যায়। ধুলাবালি, ধোঁয়া ইত্যাদির প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হয়। রোগী শ্বাসকষ্টসহ শুকনো কাশি, বুক জ্যাম হওয়া, শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময় বুকে শাঁ শাঁ শব্দ হওয়া ইত্যাদি সমস্যায় ভুগতে থাকে।

Health Tips

Fojla Rahman Zia

আপনার হাপানী/অ্যাজমা আছে কি না সেটা বুঝার জন্য নিচের প্রশ্নগুলোর অধিকাংশ যদি হ্যাঁ হয় তবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওনঃ

♦ শ্বাসের সময় বুকে বাঁশির মতো শাঁ শাঁ শব্দ হয় কি?♦ রাতে কি তীব্র কাশি হয়?♦ ব্যায়ামের পর কাশি বা শ্বাসকষ্ট হয় কি?♦ বায়ুবাহিত অ্যালার্জেন বা উত্তেজকের সংস্পর্শে কাশি বা শ্বাসকষ্ট অনুভব হয় কি?♦ রোগীর কখনো ঠাণ্ডা লাগলে কি ১০ দিনের বেশি থাকে?♦ রোগীর লক্ষণ কি অ্যাজমার ওষুধে ভালো হয়ে যায়?

কারণঃ

🌍মানুষের শ্বাসনালি সাধারণ ধুলিবালির সংস্পর্শে সরু হয়ে শ্বাসকষ্টের উদ্রেক করে।🌍বংশগত বা জেনেটিকঃযদি মা-বাবার অ্যাজমা থাকে, তবে সন্তানের অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।🌍এটপিঃএটপি মানে এ ধরনের রোগীদের রক্তে ইমুন্যুগ্লুুবিউলিন-ই (IgE) নামক অ্যান্টিবডির আধিক্য থাকে। এই রোগীদের অ্যাজমা ও অন্যান্য অ্যালার্জিজনিত রোগ যেমন—একজিমা, রাইনাইটিস বেশি হয়।🌍অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল শ্বাসনালিঃএ ধরনের শ্বাসনালি খুব সহজেই সংকুচিত হয়ে যায়।🌍লিঙ্গঃসাধারণত শিশু বয়সে ছেলেদের ও প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বেশি অ্যাজমা দেখা যায়।🌍অ্যালার্জেনঃ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অ্যাজমার ঝুঁকি, যেমন পশুর লোম, আরশোলা, রেণু, ছত্রাক ইত্যাদি।উত্তেজকঃ সিগারেটের ধোঁয়া, কারখানার উত্তেজক পদার্থ, ঠাণ্ডা বাতাস, রঙের ঝাঁজালো গন্ধ, মসলা, সুগন্ধি প্রভৃতি। ওষুধঃ অ্যাসপিরিন, ব্যথানাশক, বিটা ব্লকারস, হিরোইন প্রভৃতি।

লক্ষণ:

শ্বাসনালি সংকুচিত হওয়ার ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয়। বুকে চাপ বা জ্যাম লাগা অনুভূত হয়। কাশি বা শুকনো কাশি হয়। শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময় বুকে বাঁশির মতো শাঁ শাঁ শব্দ হয়।

প্রকার

এটপিক অ্যাজমা : অ্যাজমা রোগীর এটপি থাকে তাদের এটপিক অ্যাজমা বলে। এ রকম রোগীদের অ্যাজমার কারণ অ্যালার্জিজনিত—অন্যগুলো নন-এটপিক অ্যাজমা। ব্যায়াম প্রভাবিত : ব্যায়ামের সময় যে অ্যাজমার প্রকোপ হয়, তাকে ব্যায়াম প্রভাবিত অ্যাজমা ..এ ছাড়া আছে সিজনাল অ্যাজমা, যা ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে বাড়ে বা কমে।

পরীক্ষাঃ

রোগীর শ্বাসনালিতে শ্বাস গ্রহণে বাধা আছে কি না তা স্পাইরোমেট্রি বা পিক ফ্লো মেট্রি পরীক্ষায় নির্ণয় করা হয়। স্পাইরোমেট্রি দিয়ে অ্যাজমা ও সিওপিডি এই দুটি রোগ পার্থক্য করা যায়। কাশিপ্রধান অ্যাজমার ক্ষেত্রে মেথাকলিন চ্যালেঞ্জ পরীক্ষা করে শ্বাসনালির অতি প্রতিক্রিয়াশীলতা দেখা যায়। রক্তে ও কফে ইয়োসিনোফিল বেড়ে যায়। রক্তে সিরাম ইমুন্যুগ্লুবিউলিন-ই (IgE) অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমার জন্য দায়ী

চিকিৎসাঃ

উপশমকারী ওষুধ :যেমন সালবিউটামল। এ ওষুধ তাত্ক্ষণিতকভাবে শ্বাসনালির ছিদ্রপথ প্রসারিত করে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা কমিয়ে দেয়। যদিও এর কার্যকাল খুবই কম। প্রতিরোধক ওষুধ যেমন স্টেরয়েড, অ্যামাইনোফাইলিন, ক্রোমগ্লাইকেট ইত্যাদি।ইনহেলার পদ্ধতি :এটি সবচেয়ে উপকারী এবং আধুনিক পদ্ধতি।

প্রতিকারঃ

ব্যবহূত বালিশ, তোশক ও মেট্রেসে অচ্ছেদ্য কাভার দিলে ভালো হয়। বিছানার সব কিছু অন্তত সপ্তাহে একবার অধিক তাপে বিশুদ্ধ করা। কার্পেট না রাখলে ভালো। রাখলেও নিয়মিত ট্যানিক এসিডে পরিষ্কার করা। শিশুদের খেলনা নিয়মিত ধুয়ে রাখা। ঘরে কোনো পোষা প্রাণী না রাখা ভালো। রাখলেও নিয়মিত সপ্তাহে অন্তত দুদিন গোসল করানো। বাসায় ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করা ভালো।

© Square doc
Share:

Wednesday 5 July 2017

গ্যাস্ট্রিক/অ্যাসিডিটি দূর করুন চিরতরে....

গ্যাস্ট্রিক/অ্যাসিডিটি দূর করুন...
গ্যাস্ট্রিক/অ্যাসিডিটি দূর করুন...

গ্যাস্ট্রিক/অ্যাসিডিটি দূর করুন...

অ্যাসিডিটি দূর করুন...

Disease

Fojla Rahman Zia

উপসর্গঃ

>অ্যাসিডিটি হলে খিদে কম পায়। >পেটে গ্যাস হয় এবং বুক জ্বালা করে। >পেটের মাঝখানে চিনচিনে ব্যথা হতে পারে। >বুক ও পেটে চাপ অনুভূত হয়। >হজমে অসুবিধা হয় >বারবার বমি হতে পারে।

করণীয়ঃ

>রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে দুপুর ও রাতের খাবার খাবেন। >একবারে বেশি পরিমাণে না খেয়ে অল্প করে বারবার খান। >বমি হলে শক্ত খাবার কম খাবেন। পানি ও পানিজাতীয় খাবার বেশি খান। >বেশি চিনিজাতীয় পানীয় কম খাবেন। >ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেবেন। >চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পেট খারাপ বা বমির ওষুধ কিনে খাবেন না। >তাজা খাবার খান, স্টোর করা বা ফ্রোজেন ফুড কম খাবেন। >শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। >ধূমপান এড়িয়ে চলুন। >অতিরিক্ত তেল ও মসলা দেওয়া খাবার খাবেন না।

>বাইরের খাবার না খেয়ে বাড়ির তৈরি খাবার খান।>মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা অনেক সময় এসব সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই মানসিক চাপ নেবেন না,>মাংস, ডিম, বিরিয়ানি, মোগলাই, চায়নিজ খাবার যা-ই খান না কেন, তা দুপুরের মেন্যুতে অন্তর্ভুক্ত করুন। রাতের খাবারটি যেন হালকা হয়। শাকসবজি, ছোট মাছ এসব দিয়ে রাতের মেন্যু সাজান।>ভাত খাওয়ার আগে এক বা দুই গ্লাস পানি পান করুন। তারপর ভাত খান। খাওয়ার পরপরই অনেক বেশি পানি পান করার প্রবণতা বাদ দিন। ভাত খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি পান করুন।

>প্রতিদিন খাবারের মেন্যুতে অন্তত একটি হলেও যেন ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার থাকে, তা নিশ্চিত করুন। সেটা ল্যাক্সিটেভ হিসেবে কাজ করবে। দূর করবে কোষ্ঠকাঠিন্য। এতে গ্যাস তৈরি হবে না। যেমন- শাকসবজি, কলা, ঢেঁড়স ইত্যাদি।>সরাসরি গ্লুকোজ অর্থাৎ চিনি যথাসম্ভব কম খান। যদি খেতেই হয় চেষ্টা করুন গুড় দিয়ে চিনির অভাবটা পূরণ করতে।>বাইরের জুস বাদ দিন।>অনেকে রাতে খাওয়ার পর আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন। এটাও বাদ দিন।>দিনে কিংবা রাতে খাওয়ার পরপরই অনেকে শুয়ে পড়তে পছন্দ করেন। এটা না করে কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে হাঁটাচলা করতে পারেন অথবা বসে থাকতে পারেন সোজা হয়ে। অন্তত ৩০ মিনিট পর ঘুমাতে যান।

© Square doc
Share:

Tuesday 4 July 2017

শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে করণীয়....

শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে করণীয়....
Breathlessness

শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে করণীয়

রোগীকে সোজা হয়ে বসতে বলুন ও আশ্বস্ত করুন যে কিছুই হয়নি, আতঙ্কের কিছু নেই।

Health Tips

Fojla Rahman Zia

উপশমকারী সালবিউটামল বা ইপরাট্রোপিয়াম ইনহেলার স্পেসারের সাহায্যে ধীরে ধীরে পাঁচটি চাপ নিতে বলুন। স্পেসার না থাকলে, কাগজের ঠোঙা ব্যবহার করতে পারেন।

স্পেসারের মধ্যে প্রতিবার এক চাপ দিয়ে তা থেকে পাঁচবার শ্বাস নিতে হবে। এভাবে পাঁচবার চাপ দিন। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে খেয়াল করুন, শ্বাস বড় করে ওষুধ ঠিকমতো টেনে নেওয়া হচ্ছে কি না, খেয়ে ফেললে কাজ হবে না। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। বিশ্রাম নিন। তারপরও শ্বাসকষ্ট না কমলে আবার পাঁচ চাপ নিন। এভাবে মোট পাঁচবার (মোট ২৫ চাপ) নেওয়া যেতে|

এরপরও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির টান না কমলে রোগীকে কাছাকাছি হাসপাতালে নিতে হবে বা নেবুলাইজার যন্ত্রের সাহায্য লাগবে। হাসপাতালে পৌঁছার আগ পর্যন্ত পাঁচ চাপ করে ইনহেলার নিতে থাকবেন। শুরুতেই জিব, নখ বা আঙুল নীল হয়ে এলে, শ্বাসকষ্টের জন্য কথা পর্যন্ত না বলতে পারলে বা চেতনা হারিয়ে যেতে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়াই ভালো। এ ক্ষেত্রে নেবুলাইজার ছাড়াও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।

© Square doc
Share: