Showing posts with label Disease Bangla. Show all posts
Showing posts with label Disease Bangla. Show all posts

Wednesday 18 October 2017

পেপটিক আলসার ডিজিস কি

পেপটিক আলসার ডিজিস কি,কেন হয়

পেপটিক আলসার ডিজিস কি,কেন হয়

পেপটিক আলসার হল পাকস্থলীর বা ক্ষুদ্রান্ত্র এর প্রথম অংশের (ডিউডেনাম) আস্তরণের ক্ষয় যা গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের কারণে হয়ে থাকে।

Health Tips

Fojla Rahman Zia

পেপটিক আলসার ডিজিস কেন হয়?

অধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ সমূহঃ Helicobacter pylori ইনফেকশন,ব্যথার ওষুধ (NSAIDs),ধূমপান। অন্যান্য কারণ সমূহঃ Chemotherapy,স্টেরয়েডস, ক্লোপিডোগ্রেল, এলকোহল, Herpes simplex virus,,Cytomegalo virusবা Helicobacter heilmanni ইনফেকশন| খাদ্যতন্ত্রে ইশকেমিয়া (রক্ত সরবরাহের অভাব),হাইপোভলেমিয়া (রক্তের ভলিওম কমে যাওয়া),সারকোইডোসিস

পেপটিক আলসার ডিজিস এর উপসর্গসমূহ:

উপরের পেটে বার্নিং ব্যথা যা খাবার 1-3 ঘন্টা পরে হয় (ডিউডেনাল আলসার এ) বা, খাবার পর পর হয় (গ্যাস্ট্রিক আলসার এ), কখনও কখনও পিছনেও যায় এবং সাধারণত একটি অম্লনাশক বা অ্যাসিড রিডিউসার নেওয়ার পর দূর হয়ে যায়,ক্ষুধাহীনতা,বমি বমি ভাব,পেট ফোলা,উপসর্গসমূহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনুপস্থিতও হতে পারে।

গুরুতর উপসর্গ সমূহ যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের নিকট যেতে হবে:

রক্ত বমি (কফির মত রং এর),খাওয়ার পরে বমি,কালো আলকাতরার মতো মল ত্যাগ,দৃঢ়, শক্ত পেট যাতে ধরলে ব্যথা লাগে,অজ্ঞান হওয়া, ঘামানো

Peptic Ulcer

Peptic Ulcer tunart/Getty Images

লাইফস্টাইল পরিবর্তন করুনঃ ধূমপান করবেন না,মদ্য পান হতে দূরে থাকুন,মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন,ব্যথার ওষুধ(NSAIDs) যতদূর সম্ভব উপেক্ষা করুন| খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুনঃ দিনে ৩ বেলা বেশী পরিমাণে খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে ৫/৬ বার খান,বেশী মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না,ধীরে ধীরে ভাল মতো চিবিয়ে খাবেন,চা, কফি, কোলা ইত্যাদি যতটুকু সম্ভব কম গ্রহণ করুন

© Square DOC
Share:

Wednesday 19 July 2017

উচ্চরক্তচাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

উচ্চরক্তচাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন...
Hypertension

উচ্চরক্তচাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

>হৃৎপিণ্ড রক্ত সঞ্চালন করার সময় শিরা ও ধমনীর ওপরে যে পরিমাণ চাপ দিয়ে থাকে তাই হচ্ছে রক্তচাপ।স্বাবাভিক রক্তচাপ বলতে বোঝায় সেই বল, যার সাহায্যে রক্ত শরীরের একস্থান থেকে অন্যস্থানে পেঁছায়। হৃৎপিন্ডের পাম্পিং ক্রিয়ার মাধ্যমে রক্তচাপ তৈরি হয়। বিভিন্ন বয়সের সাথে সাথে একেক জন মানুষের শরীরে রক্তচাপের মাত্রা ভিন্ন এবং একই মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে স্বাভাবিক এই রক্তচাপও বিভিন্ন রকম হতে পারে। উত্তেজনা, দুশ্চিন্তা, অধিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের ফলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। ঘুমের সময় এবং বিশ্রাম নিলে রক্তচাপ কমে যায়। রক্তচাপের এই পরিবর্তন স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে পড়ে।

Disease

Fojla Rahman Zia

জটিলতা হতে পারেঃ

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত না থাকলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ৪টি অঙ্গে মারাত্মক ধরনের জটিলতা হতে পারে। যেমন- হৃৎপিন্ড, কিডনি, মস্তিষ্ক ও চোখ;এসব অঙ্গে যেসব সমস্যা হতে পারে, যেমনঃ হার্ট ফেইলিওর, হার্ট এ্যাটাক বা ইনফার্কশন, রেনাল ফেইল্যুর, মস্তিষ্কে স্ট্রোক হতে পারে, যা থেকে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া চোখের রেটিনাতে রক্তক্ষরণ হয়ে অন্ধত্ব বরণ করতে হতে পারে

কি কি কারণে উচ্চ রক্তচাপ হয়ঃ

৯০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কোন নির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না, একে প্রাইমারী বা এসেন্সিয়াল রক্তচাপ বলে। কিছু কিছু বিষয় উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা বাড়ায়, যাহা নিম্নরূপ....বংশানুক্রমিকঃ উচ্চ রক্তচাপের বংশগত ধারাবাহিকতা আছে, যদি বাবা-মায়ের উচ্চ রক্তচাপ থাকে তবে সন্তানেরও উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।ধূমপানঃধূমপায়ীদের শরীরে তামাকের নানা রকম বিষাক্ত পদার্থের প্রতিক্রিয়ায় উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে।

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণঃরক্ত চাপও বেড়ে যায়।অধিক ওজন এবং অলস জীবনযাত্রাঃ যথেষ্ঠ পরিমাণে ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম না করলে শরীরে ওজন বেড়ে যেতে পারে এতে, উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে।অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃঅতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার, যেমন মাংস, মাখন এবং ডুবা তেলে ভাজা খাবার খেলে ওজন বাড়বে,ডিমের হলুদ অংশ এবং কলিজা, গুর্দা, মগজ এসব খেলে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়।

রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।অতিরিক্ত মদ্যপানঃযারা নিয়মিত অত্যাধিক পরিমাণে মদ্যপান করে, তাদের উচ্চ রক্তচাপ বেশী হয়।ডায়াবেটিসঃডায়াবেটিস রোগের ফলে বয়সের সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়।অতিরিক্ত উৎকন্ঠাঃঅতিরিক্ত রাগ, উত্তেজনা, ভীতি এবং মানসিক চাপের কারণেও রক্তচাপ সাময়িকভাবে বেড়ে যেতে পারে। যদি এই মানসিক চাপ অব্যাহত থাকে এবং রোগী ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারেন, তবে এই উচ্চ রক্তচাপ স্থায়ী রূপ নিতে পারে।

কিছু কিছু রোগের কারণে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া গেলে একে বলা হয় সেকেন্ডারী হাইপারটেনশন। এই কারণগুলির মধ্যে কয়েকটি হলো--কিডনির রোগ।অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি ও পিটুইটারী গ্রন্থির টিউমার।ধমনীর বংশগত রোগ।গর্ভধারন অবস্থায় এ্যাকলাম্পসিয়া ও প্রিএ্যাকলাম্পসিয়া হলে।অনেকদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ির ব্যবহার, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ গ্রহণ এবং ব্যথা নিরামক কিছু কিছু ওষুধ খেলে

উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে কি করা উচিতঃ

অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে: খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। একবার লক্ষ্য অনুযায়ী ওজনে পৌঁছালে সীমিত আহার করা উচিত এবং ব্যায়াম অব্যাহত রাখতে হবে।খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতাঃকম চর্বি ও কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন খাশি বা গরুর গোস্ত, কলিজা, মগজ, গিলা, গুর্দা, ডিম কম খেতে হবে। কম তেলে রান্না করা খাবার এবং ননী তোলা দুধ, অসম্পৃক্ত চর্বি যেমন সয়াবিন, ক্যানোলা, ভুট্টার তেল অথবা সূর্য্যমুখীর তেল খাওয়া যাবে। বেশী আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা ভালো। লবণ নিয়ন্ত্রণঃ তরকারিতে প্রয়োজনীয় লবণের বাইরে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে।মদ্যপানঃঅতিরিক্ত মদ্যপান পরিহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়ামঃ সকাল-সন্ধ্যা হাঁটাচলা, সম্ভব হলে দৌঁড়ানো, হালকা ব্যায়াম, লিফটে না চড়ে সিঁড়ি ব্যবহার ইত্যাদি।ধূমপান বর্জনঃধূমপান অবশ্যই বর্জনীয়। ধূমপায়ীর সংস্পর্শ থেকে দুরে থাকুন। তামাক পাতা, জর্দ্দা,গুল লাগানো ইত্যাদিও পরিহার করতে হবে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ যাদের ডায়াবেটিস আছে, তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।মানসিক ও শারীরিক চাপ সামলাতে হবেঃনিয়মিত বিশ্রাম

© Square doc
Share:

Monday 17 July 2017

ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন....
ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে এবং এই ভাইরাসবাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে হয়ে থাকে।ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয়দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়।

Health Tips

Fojla Rahman Zia

ডেঙ্গু প্রধানত দুই ধরনের হয়।

ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার।>হেমোরেজিক ফিভার।

কখন ও কাদের বেশি হয়ঃ

মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিশেষ করে গরম এবং বর্ষার সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। শীতকালে সাধারণত এই জ্বর হয় না বললেই চলে।সাধারণত শহর অঞ্চলে, অভিজাত এলাকায়, বড় বড় দালান কোঠায় এই প্রাদুর্ভাব বেশি। ডেঙ্গু ভাইরাস চার ধরনের হয়। তাই ডেঙ্গু জ্বরও চারবার হতে পারে। তবে যারা আগেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে রোগটি হলে সেটি মারাত্মক হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

লক্ষণঃ

ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরেঃ

সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।>জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়।>শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়।>এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়।>বর হওয়ার চার বা পাঁচদিনের সময় সারা শরীরজুড়ে লালচে দানা দেখা যায়। যাকে বলা হয় স্কিন র্যাশ, অনেকটা অ্যালার্জি বা ঘামাচির মতো।>বমি বমি ভাব এমনকি বমি হতে পারে।>রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে,>রুচি কমে যায়।

ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরঃ

এই অবস্থায় ক্লাসিকাল ডেঙ্গু জ্বরের মত নিচের লক্ষণগুলোও দেখা যায়ঃ >শরীরে বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। যেমন : চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত থেকে, কফের সাথে, রক্ত বমি, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত।>অনেক সময় লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস, কিডনিতে আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।>ডেঙ্গু শক সিনড্রোমঃ>েঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ রূপ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম।এর লক্ষণ হলোঃ>রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া। >নাড়ির স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হওয়া। >শরীরের হাত-পা ও অন্যান্য অংশ ঠান্ডা হয়ে যায়। >প্রস্রাব কমে যায়| >হঠাৎ করে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেনঃ

শরীরের যেকোনো অংশে রক্তপাত হলে।

প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে।

শ্বাস কষ্ট হলে বা পেট ফুলে পানি আসলে।

প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে।

জন্ডিস দেখা দিলে।

অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে।

প্রচণ্ড পেটে ব্যথা বা বমি হলে।

কী পরীক্ষা করা উচিতঃ

জ্বরের চার থেকে পাঁচদিন পরে সিবিসি এবং প্লাটিলেট করাই যথেষ্ট।প্লাটিলেট কাউন্ট এক লাখের কম হলে ডেঙ্গু ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।ডেঙ্গু অ্যান্টিবডির পরীক্ষা পাঁচ থেকে ছয়দিনের পর করা যেতে পারে।ব্লাড সুগার, লিভারের পরীক্ষাগুলো যেমন এসজিপিটি, এসজিওটি, এলকালাইন ফসফাটেজ ইত্যাদি করা যাবে।

চিকিৎসাঃ

সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে।

যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

খেতে না পারলে দরকার হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।

জ্বর কমানোর জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামল-জাতীয় ব্যথার ওষুধই যথেষ্ট।

জ্বর কমানোর জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে গা মোছাতে হবে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

প্রতিরোধঃ

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ।

আশপাশের ঝোঁপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে, যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে। তাই ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে।

ঘরের বাথরুমে বা কোথাও জমানো পানি পাঁচদিনের বেশি যেন না থাকে। অ্যাকুয়ারিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ারকন্ডিশনারের নিচেও যেন পানি জমে না থাকে।

এডিস মশা সাধারণত সকালে ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য কোনো সময়ও কামড়াতে পারে।ঘরের দরজা-জানালায় নেট লাগাতে হবে।

দিনের বেলায় মশারি টাঙ্গিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।

বাচ্চাদের যারা স্কুলে যায়, তাদের হাফ প্যান্ট না পরিয়ে ফুল প্যান্ট পরিয়ে স্কুলে পাঠাতে হবে।

মশা নিধনের স্প্রে, কয়েল, ম্যাট ব্যবহার করতে হবে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই সব সময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে, যাতে করে কোনো মশা কামড়াতে না পারে।

© SQUARE DOC
Share:

Monday 10 July 2017

নিউমোনিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন.....

নিউমোনিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন.......
নিউমোনিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

নিউমোনিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগ। সাধারণত নিউমোকক্কাল ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণে নিউমোনিয়া হয়ে থাকে।

Health Tips

Fojla Rahman Zia

কাদের নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছেঃ

ছোট্ট শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা,>বহুদিন ধরে ভুগছে এমন কোন রোগ থাকলে যেমন : বহুমূত্র (Diabetes), হৃদরোগ,ফুসফুসের অন্য কোন রোগ ,এইডস ইত্যাদি থাকলে।

>যাদের অন্য কোন কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে যেমন-ক্যান্সারের চিকিৎসা নিলে,স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন করলে,>যারা ধূমপান করেন

নিউমোনিয়া হয়েছে কি করে বুঝবেনঃ

নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে।নিউমোনিয়া হলে সাধারণত যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়ঃ >Fever,>কাশি,>শ্বাস কষ্ট,>ঘাম হওয়া,>কাঁপুনি,>বুকে ব্যাথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠা নামা করে,>মাথা ব্যথা,>মাংসপেশীতে ব্যাথা,>ক্লান্তি অনুভব করা

কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ

>অস্বাভাবিক জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এছাড়া >যারা বৃদ্ধ এবং শিশু ,>যারা ধূমপান করেন ,>যারা ফুসফুসে কোন আঘাত পেয়েছেন যাদের কেমোথেরাপি (ক্যান্সারের চিকিৎসা) অথবা অন্য কোন ঔষধ খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে।তাদের যদি উপরোক্ত লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে তাদেরকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

কি ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারেঃ

শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা।>বুকের এক্স-রে, এবং কফ/শ্লেষ্মা (Mucus) পরীক্ষা।

চিকিৎসা

এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন।>পরিস্থিতি বিবেচনা করে ডাক্তারের কাছে যাওয়ায় ভালো।

কিভাবে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা যায়ঃ

পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রাম।তরল খাদ্য গ্রহণ।নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে।পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।ধূমপান করা যাবে না।অন্যের সামনে হাঁচি/কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি/কাশি দেয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে।

নিউমোনিয়া হলে কি কি জটিলতা দেখা যেতে পারেঃ

ফুসফুসের চারপাশে তরল জমা এবং সংক্রমণ (Fluid accumulation and infection around lungs),>ল্যাং এ্যাবসেস (Lung Abscess),>তীব্র শ্বাসকষ্ট বা একিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনেড্রাম (Acute respiratory distress syndrome)

© SQUARE DOC
Share:

Sunday 28 May 2017

Diarrhoea/ডায়রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন.....

Diarrhoea/ডায়রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন.....
Diarrhoea/ডায়রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন.....

Diarrhoea/ডায়রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন.....

Daily কমপক্ষে তিনবার পাতলা বা তরল মলত্যাগ হওয়াকেই ডায়রিয়া বলে।

Health

Fojla Rahman Zia

পরিসখ্যান বলে যে:

প্রতি বছর প্রায় 1.7 থেকে 5 বিলিয়ন উদরাময়ের ঘটনা ঘটে।এটা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সবচেয়ে সাধারণত দেখা যায়, যেখানে ছোট বাচ্চারা প্রতি বছরে গড়ে তিনবার উদরাময়ে আক্রান্ত হয়।2012 সাল পর্যন্ত, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় সবচেয়ে সাধারণ কারণ (0.76 মিলিয়ন বা 11%)।ঘন ঘন উদরাময়ের ঘটনা অপুষ্টিরও একটা সাধারণ কারণ

ডায়রিয়া আসলে কেন হয়?

খোলামাঠে মলত্যাগ

ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত ডায়ারিয়া:সালমোনেলা ,শিগেলা,ইশ্চেরিচিয়া কোলাই

ভাইরাস ঘটিত ডায়ারিয়া:Rota virus, হেপাটাইটিস-এ ভাইরাস ডায়ারিয়া ঘটাতে পারে।

ছত্রাক ঘটিত ডায়ারিয়াঘটিত ডায়ারিয়া:Protozoa ঘটিত ডায়ারিয়া জিয়ার্ডিয়া, এন্টামিবা জাতীয় প্রোটোজোয়া ডায়ারিয়ার জন্য দায়ী।

ডায়রিয়া প্রতিকার ও প্রতিরোধ :

সাধারণ ডায়ারিয়া ঘটলে এটা নিজে নিজেই সেরে যায়। রোগ যতদিন চলে তত দিন রোগীকে স্যালাইন খাওয়াতে হয়। স্যালাইন শরীরে পানিশুন্যতা রোধ করে। কলেরা জীবানু দ্বারা ডায়ারিয়া হলে প্রতিদিন শরীর থেকে ২০-৩০ লিটার পানি বের হয়ে যায়। যা শরীরের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। তার যত দিন রোগ চলে ততদিন রোগীকে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। UNICEF এর মতে মলত্যাগ করার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ডায়ারিয়ার সম্ভবনা ৪০% হ্রাস করে। খাওয়ার স্যালাইন বাজারে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি কর্তৃক সরবরাহকৃত স্যালাইন পাওয়া যায়। আবার ঘরে চিনি (না থাকলে গুড়), এক মুষ্টি চিনি/গুড় ও তিন আঙ্গুলের এক চিমটা লবণ এক মগ পানিতে মিশিয়ে স্যালাইন তৈরি করা যায়।

© SQUARE DOC
Share:

Thursday 18 May 2017

হেপাটাইটিস-এ ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন...

হেপাটাইটিস-এ ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন...
হেপাটাইটিস-এ ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন...

হেপাটাইটিস-এ ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন...

এটি হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের কারনে হয়ে থাকে।এটির প্রথম লক্ষণ হলো সারা শরীর হলুদ হয়ে যাওয়া এরং সবার আগে হলুদ হয় প্রস্রাব আর চোখের উপরের অংশ।রোগটি নরমালি খাবার বাহিত আর পানি বাহিত!

Health Tips

Fojla Rahman Zia

লক্ষণ:

**হালকা জ্বর **হলুদ হয়ে যাওয়া চোখের উপরের অংশ**হলুদ প্রস্রাব**খাবারে রুচি কমে যাওয়া**বমি বমি ভাব...এগুলো নরমাল নক্ষণ, এগুলো নাও থাকতে পারে শুধু হলুদ স্কিন আর চোখ দেখেই কিছুটা বুঝা যাবে যে এটা মে বি হেপাটাইটিস এ হেপাটাইটিস ভাইরাসের আক্রমন হয়েছে কিনা সেটা লক্ষণ দেখেই বুঝা যায় না। এটার জন্য কিছু আলাদা পরীক্ষা করে নিতে হয়... ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করতে হয়।

কিভাবে ছড়ায়:

*এটা নরমালি হেপাটাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তির মল খাবার বা পানির সাথে মিশলে এমন হয়।

ল্যাব পরীক্ষা সমূহ:

*সেরাম বিলিরুবিন *সেরাম AST, ALT*CBC (Complete blood count)*Hb estimation*electrolyte imbalance

কিভাবে বুঝব?

*যদি সেরাম বিলিরুবিন লেবেল বেড়ে যায়*যদি AST, ALT বেড়ে যায়,..যদি কয়েকদিনের মাঝে হয়তবে:lgM anti hepatitis A ---positive,..If lgM anti Hepatitis A--Negative..তবে বুঝাবে যে অনেকদিন আগেই হয়েছa

ট্রিটমেন্ট :

হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে লক্ষণ প্রকাশের পর পর

প্রতিরোধ :

*বাইরে খাওয়া পরিহার করতে হবে*বাইরে কিছু খাওয়ার আগে জানতে হবে এটা পরিষ্কার কি না।*আর এখন ভ্যাক্সিন আছে।

© Square doc
Share:

চিকনগুনিয়া Fever সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন.....

চিকনগুনিয়া Fever সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন......
চিকনগুনিয়া Fever সম্পর্কে বিস্তারিত

চিকনগুনিয়া Fever সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন.

>এটি সাধারনত এডিস মশার কামড়ে হয়ে থাকে.... এটি ডেঙ্গুজ্বরের মতই লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে...নরমালি ডেঙ্গুজ্বরে যেমন রেশ (লাল লাল গোটার মত) দেখা যায় ঠিক তেমনি এখানেও দেখা যায়। তবে ইদানিং ঢাকায় এটা বেশি হচ্ছে।

Health Tips

Fojla Rahman Zia

লক্ষণ:

বেশি পরিমান জ্বর ১০৩/১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট,জয়েন্টে ব্যথা,>বমি বমি ভাব, >খেতে না পারা,>মুখে রুচি নষ্ট হয়ে যাওয়া,>খাবারে স্বাদ না পাওয়া

এজেন্ট/যে ভাইরাসের কারনে হয়:

চিকনগুনিয়া ভাইরাস

যে মশা ভাইরাসটি ছড়ায়:

এডিস মশা।

মশাটির জন্ম স্থান কোথায়:

ফুলের টপে জমে থাকা পানি,>ঘরের কোনে জমে থাকা পানি,>Artificial Collection of water

কখন মশা কামড়ায়?:

day time বেশি আর সন্ধ্যাবেলায়

চিকিৎসা কি?

লক্ষণ দেখা যাওয়ার সাথে ,>Napa/Napa extra/Paracitamol জাতীয় ওষধ খাবেন। বেশি বেশি পানি খাবেন,>স্যালাইন খাবেন,>খাবার দাবার খাবেন বেশি করে,>রাতের বেলার জ্বর বেশি হয়ে গেলে Napa sapositories ব্যবহার করবেন।>পরিস্থিতি বিবেচনা করে হসপিটালে যাওয়াই ভালো

প্রতিরোধ ঃ

মশারী ব্যবহার করবেন,>কয়েল এরোসল ব্যবহার করবেন,>আর একটা কথা ফুলের টপে পানি জমতে দিবেন না।
© SQUARE DOC
Share: