নিউমোনিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগ। সাধারণত নিউমোকক্কাল ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণে নিউমোনিয়া হয়ে থাকে।
Health Tips
Fojla Rahman Ziaকাদের নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছেঃ
ছোট্ট শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা,>বহুদিন ধরে ভুগছে এমন কোন রোগ থাকলে যেমন : বহুমূত্র (Diabetes), হৃদরোগ,ফুসফুসের অন্য কোন রোগ ,এইডস ইত্যাদি থাকলে।
>যাদের অন্য কোন কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে যেমন-ক্যান্সারের চিকিৎসা নিলে,স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন করলে,>যারা ধূমপান করেন
নিউমোনিয়া হয়েছে কি করে বুঝবেনঃ
নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে।নিউমোনিয়া হলে সাধারণত যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়ঃ >Fever,>কাশি,>শ্বাস কষ্ট,>ঘাম হওয়া,>কাঁপুনি,>বুকে ব্যাথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠা নামা করে,>মাথা ব্যথা,>মাংসপেশীতে ব্যাথা,>ক্লান্তি অনুভব করা
কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ
>অস্বাভাবিক জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এছাড়া >যারা বৃদ্ধ এবং শিশু ,>যারা ধূমপান করেন ,>যারা ফুসফুসে কোন আঘাত পেয়েছেন যাদের কেমোথেরাপি (ক্যান্সারের চিকিৎসা) অথবা অন্য কোন ঔষধ খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে।তাদের যদি উপরোক্ত লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে তাদেরকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
কি ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারেঃ
শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা।>বুকের এক্স-রে, এবং কফ/শ্লেষ্মা (Mucus) পরীক্ষা।
চিকিৎসা
এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন।>পরিস্থিতি বিবেচনা করে ডাক্তারের কাছে যাওয়ায় ভালো।
কিভাবে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা যায়ঃ
পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রাম।তরল খাদ্য গ্রহণ।নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে।পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।ধূমপান করা যাবে না।অন্যের সামনে হাঁচি/কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি/কাশি দেয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
নিউমোনিয়া হলে কি কি জটিলতা দেখা যেতে পারেঃ
ফুসফুসের চারপাশে তরল জমা এবং সংক্রমণ (Fluid accumulation and infection around lungs),>ল্যাং এ্যাবসেস (Lung Abscess),>তীব্র শ্বাসকষ্ট বা একিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনেড্রাম (Acute respiratory distress syndrome)
0 comments:
Post a Comment